Skip to main content

History of krishnanagar (nodia),কৃষ্ণনগরের(নদিয়া) ইতিহাস



কৃষ্ণনগর:-

কৃষ্ণনগর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদিয়া জেলার সদর শহর ও পৌরসভা এলাকা। কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণীর মাটির পুতুল ও মূর্তি পশ্চিমবঙ্গের শ্রেষ্ঠ কুটির শিল্পগুলির অন্যতম। সংস্কৃতি ও বিদ্যোৎসাহী রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের নামানুসারে এই স্থান কৃষ্ণনগর নামে খ্যাত। কৃষ্ণনগর জলঙ্গি নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত।জমিদার কৃষ্ণ চন্দ্র রায়ের রাজত্বকালে এখানে নির্মিত রাজবাড়ী পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থান হিসাবে চিহ্নিত যদিও অতীতের গৌরবটির অবশেষগুলি নষ্ট হয়ে গেছে এবং কেবলমাত্র তার অভ্যন্তরের দেওয়ালে খোদাই করা সূক্ষ্ম জায়গাগুলির কেবল একটি জরাজীর্ণ কাঠামো বিদ্যমান রয়েছে।
সংস্কৃতি ও বিদ্যোৎসাহী রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের নামানুসারে এই স্থান কৃষ্ণনগর নামে খ্যাত।

ইতিহাস ও সংস্কৃতি:-


রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের নামানুসারে এই স্থান কৃষ্ণনগর নামে খ্যাত। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজধানী ছিল কৃষ্ণনগর।রাজা কৃষ্ণচন্দ্র (জন্ম কৃষ্ণচন্দ্র রায় 1710-1783) ছিলেন রাজা,এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, নদিয়ার কৃষ্ণনগরের জমিদার 1728 থেকে 1782।তিনি নাদিয়া রাজ পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।  "বাংলার হিন্দু সমাজের সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।তিনি কেবল মুঘল শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের জন্যই কৃতিত্বিত হন নি, তবে তাঁর রাজ্যে শিল্পের প্রসার ও পৃষ্ঠপোষকতা। কৃষ্ণনগরের জগদ্বিখ্যাত মৃৎশিল্পের সূত্রপাত ও জগদ্ধাত্রী পূজার প্রচলন তার সময়ে তারই উদ্যোগে ঘটেছিল। কৃষ্ণনগর পৌরসভা ১৮৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

 কৃষ্ণনগরে  রাজাদের রাজত্বকাল :-

ভবানন্দ মজুমদার -- 1606-1628
গোপাল রায় -- 1628-1632
রাঘব রায় -- 1632-1883
রুদ্র রায় -- 1683-1694
রামকৃষ্ণ -- 1694 
রামজীবন -- 1694-1715
রঘুরাম -- 1715-1728
কৃষ্ণচন্দ্র - 1728-1782
শিবচন্দ্র -1782-1788
ঈশ্বরচন্দ্র - 1788-1802
গিরীজচন্দ্র - 1802-1842
শ্রীশচন্দ্র -1842-1856
সতীশচন্দ্র -1856-1870

সে  সময়  কার কিছু বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব:-

বাঘা যতীন - স্বাধীনতা সংগ্রামী ও শহীদ
বিজয়লাল চট্টোপাধ্যায় - জাতীয়তাবাদী কবি। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় - কবি ও নাট্যকার
ভারতচন্দ্র রায় - কবি। হেমন্তকুমার সরকার - স্বাধীনতা সংগ্রামী
রামতনু লাহিড়ী - মনীষী
প্রমোদরঞ্জন সেনগুপ্ত - স্বাধীনতা সংগ্রামী ও চিন্তাবিদ




Comments

Popular posts from this blog

মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় এর জীবনী,History of raja krishna chandra roy

মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় এর ছবি  আজ আমরা মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব: মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় যিনি নদীয়ার রাজা এবং কৃষ্ণনগর   রাজ বংশের প্রতিষ্ঠাতা এবং ভবানন্দ মজুমদারের বংশধর ছিলেন। তিনি ১৭১০ এর দশকে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতার নাম রঘুনাথ রাজ। তাঁর পরিকল্পনায় তিনি তার পিতার স্ত্রীকে বঞ্চিত করেছিলেন বিপুল সম্পদের অধিকারী হন। Biography video Raja krishnachandra Roy মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের BIOGRAPHY নবাব আলীবর্দী খানের শাসনামলে তিনি নদীয়ার জমিদার ছিলেন। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়  একজন রাজনৈতিক দূরদর্শী এবং কূটনীতির মানুষ। তাঁর রাজনৈতিক পালাবদলে সিরাজউদ্দৌলা ইংরেজদের সাথে সংঘাতে লিপ্ত হলে তিনি ইংরেজদের পক্ষ  নিয়ে অবলম্বন করলে পরবর্তি নবাব মীর কাশিমের সময় তাকে বন্দী করা হয়। তবে তিনি  ইংরেজদের হস্তক্ষেপে তিনি মুক্তি লাভ করেন।। ১৭৫৪ সালে, কৃষ্ণচন্দ্র আলীবর্দী খাঁনের রাজকর প্রদান না করার জন্য কারাবরণ করেছিলেন। কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের  কৃতিত্ব:- কৃষ্ণচন্দ্র বহু জনহিতকর কাজ করেছেন। তিনি ১৭...

Krishnanagar barodol mela,কৃষ্ণনগর বারোদোল মেলা

আজ কৃষ্ণনগর বারোদোল মেলা নিয়ে আলোচনা করবো। কৃষ্ণনগর বারোদোল মেলা কেনো হয় ? কে শুরু করেছিলেন কৃষ্ণনগরের বারোদোল মেলা ? কি ভাবে শুরু হয়েছিল কৃষ্ণনগরের বারোদোল মেলা ? কৃষ্ণনগর বারোদোল মেলার ভিডিও।  কৃষ্ণনগর বারোদোল মেলার ছবি কৃষ্ণনগর বারোদোল  "কৃষ্ণনগর বারোদোল মেলা"       কৃষ্ণনগরের বারোদোল মেলাটি  প্রতি বছর    দোল পূর্ণিমার পরের শুক্লাএকাদশী তিথিতে' রাজবাড়ি  প্রাঙ্গণে  অবস্থিত হয় ,যা বর্তমানে বারোদোলের  মেলা  নামে  পরিচিত। বারোদল আসলে 12 টা ঠাকুরের দোল খেলা,       12 টা ঠাকুরের বিগ্রহ কে প্রথম দিন রাজ  বেশে দ্বিতীয় দিন ফুল বেশে আর তৃতীয় দিন রাখাল বেশে রাখা হয়।  পুজো চলাকালীন  রাজবাড়ীর নাটমন্দির তিনদিন ধরে  সকল দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে।  অনেকেই মনে করেন মেলাটি  দোলের 12 দিন পরে হয় বলে এই  এই মেলাটির নাম বারদল মেলা, কিন্তু বাস্তবে তা নয়, অতীতে নদীয়ার রাজা বিভিন্ন স্থানের বারটি কৃষ্ণের মূর্...